০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো মাহেরীন শিক্ষানুরাগী ছিলেন

রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী তার নিজ গ্রামে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন সাহসী ও মানবিক শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মরহুমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

মাহেরীন চৌধুরী নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের মৃত মাহিতুর রহমানের মেয়ে এবং নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন।

মরহুমা মাহেরীন চৌধুরী রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) ছিলেন। সোমবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

মরহুমার স্বামী মনসুর হেলার জানান, তার স্ত্রী ইচ্ছা করলেই বাঁচতে পারত; কিন্তু সে তা না করে তার শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীকে টেনে বের করতে থাকে। একপর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, দুই ঈদ ছাড়াও মাঝে মধ্যেই তিনি গ্রামে আসতেন। এ সময় তিনি এলাকার গরিব মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন।

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীরা ভিতরে আটকে পড়ার বিষয়টি সে আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় এবং ভিতরে ঢুকে পড়েছে এটাও অবগত করে।

ট্যাগ :

শেয়ার করুন

মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো মাহেরীন শিক্ষানুরাগী ছিলেন

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী তার নিজ গ্রামে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন সাহসী ও মানবিক শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মরহুমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

মাহেরীন চৌধুরী নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের মৃত মাহিতুর রহমানের মেয়ে এবং নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন।

মরহুমা মাহেরীন চৌধুরী রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের কো-অর্ডিনেটর (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি) ছিলেন। সোমবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

মরহুমার স্বামী মনসুর হেলার জানান, তার স্ত্রী ইচ্ছা করলেই বাঁচতে পারত; কিন্তু সে তা না করে তার শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে থেকে একের পর এক শিক্ষার্থীকে টেনে বের করতে থাকে। একপর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি জানান, দুই ঈদ ছাড়াও মাঝে মধ্যেই তিনি গ্রামে আসতেন। এ সময় তিনি এলাকার গরিব মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন।

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীরা ভিতরে আটকে পড়ার বিষয়টি সে আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় এবং ভিতরে ঢুকে পড়েছে এটাও অবগত করে।